ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একটু বেশিই করেছেন হাথুরু পরীক্ষা-নিরীক্ষা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৭
  • ৪০১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরশু কিম্বার্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের। ২০১৪ সালের জুনে বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার পর চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে এ নিয়ে ৪৪ জন খেলোয়াড়ের আন্তর্জাতিক অভিষেক হলো। বিসিবির সঙ্গে হাথুরুর চুক্তির মেয়াদ ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তিনি থাকতে সামনে আরও নতুন মুখ নিশ্চয়ই দেখা যাবে। সেটি হলে হাথুরু ছাড়িয়ে যাবেন বাংলাদেশ দলের অতীতের সব কোচকে।

২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট পা রেখেছিল নতুন যুগে। গত ১৭ বছরে বাংলাদেশ খেলেছে ১০৪ টেস্ট, অভিষেক হয়েছে ৮৬ খেলোয়াড়ের। এই সময়ে খেলা ২৯২ ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে ৭৪ খেলোয়াড়ের। ২০০৬ সালের নভেম্বরে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে পা রাখা বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত খেলেছে ৬৭ টি-টোয়েন্টি, এখন পর্যন্ত অভিষেক হয়েছে ৫৭ খেলোয়াড়ের। গত ১৭ বছরে আন্তর্জাতিক অভিষেক ২১৭ খেলোয়াড়ের। এর মধ্যে ডেভ হোয়াটমোর, জেমি সিডন্স ও চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মেয়াদে জাতীয় দলের জার্সি চাপিয়েছেন ১৩১ খেলোয়াড়। ৬০ শতাংশ খেলোয়াড়ের অভিষেকই এই তিন কোচের অধীনে। বাকি ৪০ শতাংশ ট্রেভর চ্যাপেল, মহসিন কামাল, সরওয়ার ইমরান, স্টুয়ার্ট ল, রিচার্ড পাইবাস ও শেন জার্গেনসনের সময়ে।
গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক মোসাদ্দেকের। ছবি: বিসিবিহোয়াটমোর, সিডন্স ও হাথুরুসিংহের কথা আলাদাভাবে বলা হচ্ছে। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর এই তিন কোচই তুলনামূলক দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময় পেয়েছেন। ২০০৩ সালের জুন থেকে ২০০৭ সালের মে—হোয়াটমোরের এই চার বছরে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে ৪৪ খেলোয়াড়ের। ২০০৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকা সিডন্সের সময় অভিষেক ৪৩ খেলোয়াড়ের।
হোয়াটমোর-সিডন্সকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই যেন এগোচ্ছেন হাথুরু! গত তিন বছরেই তাঁর মেয়াদে অভিষেক হয়ে গেছে ৪৪ খেলোয়াড়ের। বাংলাদেশ দলের এই শ্রীলঙ্কান কোচের একসঙ্গে চারজনকে অভিষেক করিয়ে দেওয়ার ‘রেকর্ড’ও আছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল মোসাদ্দেক হোসেন, আবু হায়দার, মুক্তার আলী ও মোহাম্মদ শহীদের।
হাথুরুর অতি পরীক্ষা-নিরীক্ষার এই প্রবণতা নিয়ে যেমন সমালোচনা হয়েছে, আবার এতে কিছু সাফল্যও মিলেছে। মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেনদের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখা তো তাঁরই সময়ে।
একাধিক খেলোয়াড়ের অভিষেক করিয়ে দ্রুতই বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়ার বিপরীত চিত্রও আছে। ফর্মের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ কিছু খেলোয়াড়কে হাথুরু আড়াল করে রাখছেন সবকিছু থেকেও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

একটু বেশিই করেছেন হাথুরু পরীক্ষা-নিরীক্ষা

আপডেট টাইম : ১২:৩০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরশু কিম্বার্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের। ২০১৪ সালের জুনে বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার পর চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে এ নিয়ে ৪৪ জন খেলোয়াড়ের আন্তর্জাতিক অভিষেক হলো। বিসিবির সঙ্গে হাথুরুর চুক্তির মেয়াদ ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তিনি থাকতে সামনে আরও নতুন মুখ নিশ্চয়ই দেখা যাবে। সেটি হলে হাথুরু ছাড়িয়ে যাবেন বাংলাদেশ দলের অতীতের সব কোচকে।

২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট পা রেখেছিল নতুন যুগে। গত ১৭ বছরে বাংলাদেশ খেলেছে ১০৪ টেস্ট, অভিষেক হয়েছে ৮৬ খেলোয়াড়ের। এই সময়ে খেলা ২৯২ ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে ৭৪ খেলোয়াড়ের। ২০০৬ সালের নভেম্বরে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে পা রাখা বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত খেলেছে ৬৭ টি-টোয়েন্টি, এখন পর্যন্ত অভিষেক হয়েছে ৫৭ খেলোয়াড়ের। গত ১৭ বছরে আন্তর্জাতিক অভিষেক ২১৭ খেলোয়াড়ের। এর মধ্যে ডেভ হোয়াটমোর, জেমি সিডন্স ও চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মেয়াদে জাতীয় দলের জার্সি চাপিয়েছেন ১৩১ খেলোয়াড়। ৬০ শতাংশ খেলোয়াড়ের অভিষেকই এই তিন কোচের অধীনে। বাকি ৪০ শতাংশ ট্রেভর চ্যাপেল, মহসিন কামাল, সরওয়ার ইমরান, স্টুয়ার্ট ল, রিচার্ড পাইবাস ও শেন জার্গেনসনের সময়ে।
গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক মোসাদ্দেকের। ছবি: বিসিবিহোয়াটমোর, সিডন্স ও হাথুরুসিংহের কথা আলাদাভাবে বলা হচ্ছে। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর এই তিন কোচই তুলনামূলক দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময় পেয়েছেন। ২০০৩ সালের জুন থেকে ২০০৭ সালের মে—হোয়াটমোরের এই চার বছরে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে ৪৪ খেলোয়াড়ের। ২০০৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকা সিডন্সের সময় অভিষেক ৪৩ খেলোয়াড়ের।
হোয়াটমোর-সিডন্সকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই যেন এগোচ্ছেন হাথুরু! গত তিন বছরেই তাঁর মেয়াদে অভিষেক হয়ে গেছে ৪৪ খেলোয়াড়ের। বাংলাদেশ দলের এই শ্রীলঙ্কান কোচের একসঙ্গে চারজনকে অভিষেক করিয়ে দেওয়ার ‘রেকর্ড’ও আছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল মোসাদ্দেক হোসেন, আবু হায়দার, মুক্তার আলী ও মোহাম্মদ শহীদের।
হাথুরুর অতি পরীক্ষা-নিরীক্ষার এই প্রবণতা নিয়ে যেমন সমালোচনা হয়েছে, আবার এতে কিছু সাফল্যও মিলেছে। মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেনদের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখা তো তাঁরই সময়ে।
একাধিক খেলোয়াড়ের অভিষেক করিয়ে দ্রুতই বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়ার বিপরীত চিত্রও আছে। ফর্মের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ কিছু খেলোয়াড়কে হাথুরু আড়াল করে রাখছেন সবকিছু থেকেও।